প্রিয় বন্ধুর সফল হওয়ার গল্প
পুরো এডমিশন লাইফের সবচেয়ে কাছের বন্ধু এবং সবচেয়ে কাছের সহপাঠী প্রিয় ফরহাদ হোসেন ভাইয়ের সফলতার গল্প। যিনি সেই শুরু থেকেই আমার সাথে একসাথে পড়াশোনা করেছে।
কিন্তু ভাগ্যের লিখনে ঢাকা ইউনিভার্সিটি, জাহাঙ্গীরনগর ইউনিভার্সিটি, রাজশাহী ইউনিভার্সিটি তে পরীক্ষা দেওয়ার কোন সুযোগই পায়নি। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়েও ভর্তি হওয়ার সুযোগ পায়নি (কারণ তার মেরিট পজিশন বিজ্ঞান বিভাগ থেকে 8 এর কাছাকাছি ছিল) চট্টগ্রামের ভার্সিটিতে পরীক্ষা দিলেও প্রায় ৬২০০+ পজিশন আসে। আর এই পিছিয়ে পড়া পজিশন নিয়ে চট্টগ্রামের ভার্সিটিতে ভর্তির কোন সুযোগ পায়নি। সৌভাগ্যক্রমে ৭ কলেজে পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ পেয়েছিল। যদিও সে পরীক্ষা দিয়েছিল কিন্তু আমাকে জানায়নি পরে আমাকে জানালেও ভালো সংবাদ শুনাতে পারেনি। কারণ সাত কলেজে তার মানবিক বিভাগের প্রিপারেশন নিয়ে বিজ্ঞান বিভাগে পরীক্ষা দেওয়া লেগেছে। ফলাফল দিয়ে দাঁড়ায় ১৫৫০০+। কিন্তু এত দূর পজিশনে সাবজেক্ট পাওয়াটা ছিল সোনার হরিণের মতো। তার অনেক মন খারাপ হয়ে গিয়েছিল কারণ শেষ তার সর্বশেষ সম্বলটুকুও হারিয়ে ফেলতে চলেছে। আমি তাকে কিছু মৃত আশ্বাস দিয়েছিলাম। ইনশাআল্লাহ ভালো কিছুই হবে। পরে সাবজেক্ট চয়েজ এর ব্যাপারে আমার পরামর্শ নিয়ে কবি নজরুল সরকারি কলেজ প্রথম সাবজেক্ট চয়েস দেয়। কারণ আমি জানতাম বড় কিছু আশা করলে অনেক কিছুই হারাতে হতে পারে।
কয়েকবার মেরিট পজিশন দিয়ে দিয়েছে চূড়ান্ত মেরিট পজিশন দিয়ে দিয়েছে তারপরও প্রিয় ভাইটির সাবজেক্ট আসেনি। অবশেষে গতকাল ২৩-০৩-'২২ কবি নজরুল সরকারি কলেজের ইতিহাস বিভাগের জন্য মনোনীত হয়।
গতকাল আমি খোঁজ নিতে পারিনি তবে আজকে যখন জানতে পারলাম প্রিয় ভাইটি সাবজেক্ট পেয়েছে তখন মনে হয়েছে কিছুক্ষণ কান্না করি। কান্নাটা অবশ্যই সুখের কান্না কারন আমি আমার এডমিশন লাইফের একজন প্রিয় বন্ধুকে পড়াশোনা বন্ধ হয়ে যাওয়ার অবস্থা থেকে আবার পড়াশোনায় ফিরে আসার গল্পটা দেখেছি।
প্রিয় ভাই তোমার জন্য অনেক অনেক দোয়া এবং শুভকামনা রইলো।